যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী দাউদ হোসেন দফাদারের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা এই প্রতিবাদ জানান।
এসময় শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমরা নৌকার প্রার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা নৌকার প্রার্থীর উপর হামলা করেছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে শুরু থেকে সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তাদের দ্রুত আটক করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক যাচাই-বাচাই করেই নৌকার মাঝি মনোনীত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিন্ধান্ত। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে নৌকার প্রার্থী দাউদ হোসেন দফাদারের পক্ষে নির্বাচন করতে হবে। যারা এই সিদ্ধান্ত মানবেন না, নৌকার বিরোধিতা করবেন তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাদের আর কোনো দিন আওয়ামী লীগ করার সুযোগ দেয়া হবে না।’ যশোরে নৌকার প্রার্থীর উপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১০ এসময় নৌকার প্রার্থী দাউদ হোসেন দফাদার ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনউদ্দিন মিঠু, উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব রায়, যুবলীগ নেতা বাবুল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব কোহিনুর, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জাবের হোসেন জাহিদ, শহর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক তছিকুর রহমান রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মঙ্গবার দুপুরে চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী দাউদ হোসেন দফাদারের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। হামলায় আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দাউদ হোসেন দফাদারের অভিযোগ, বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না ও তার ছেলে আব্দুল আওয়ালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা করে। চুড়ামনকাটি বাজারে ওই হামলায় আমার ১০ জন কর্মী আহত হন। এসময় আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে বাগডাঙ্গার দিকে চলে যাই। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেও তারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়নি।