রিপোর্ট,মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু ভৈরব কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে (কাপপিরিচ প্রতীক) মো: আবুল মনসুর, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে (মাইক প্রতীক) হাজী মোশারফ হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (ফুটবল) সানজিদা ইয়াসমিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে মো: আবুল মনসুর কাপপিরিচ প্রতীকে
পেয়েছেন ৪৮,২০০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু ঘোড়া প্রতীকে পান ৩২,৪২৫ ভোট।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: মোশারফ হোসেন মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ৪১,৮৯০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জিয়াউর রহমান অরুন উড়োজাহাজ প্রতীকে পান ৩৭৭০২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানজিদা ইয়াসমিন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬,৪১২ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোয়ারা বেগম হাঁস প্রতীকে পান ২০,৫৫৫ ভোট।
এদিকে ৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। ব্যালেট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মৌঠুপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৬৩নং) কেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়। এঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (৫জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সকালের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তুলনামূলক ভাবে কিছু বাড়তে থাকে ভোটারদের উপস্থিতি।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনী এলাকায় ও কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে কেন্দ্র গুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভৈরব উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৪২জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লক্ষ ২৭হাজার ২০২জন ও মহিলা ভোটার ১লক্ষ ১৬হাজার ৪৪০ জন। ৯২টি কেন্দ্রের ৬০১টি ভোট কক্ষে ব্যালট পেপারে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। উপজেলায় সর্বমোট ৯২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে পৌরসভায় রয়েছে ৩৪টি কেন্দ্র ও ৭টি ইউনিয়নে রয়েছে ৫৮টি কেন্দ্র।
এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন আর্মস পুলিশ, একজন পুলিশ ও ১২জন আনসার নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও উপজেলায় ৩প্লাটুন বিজিবি, ১প্লাটুন র্যাব সদস্যদের টহল দেন এবং ১০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনসহ মোট ১৫ জন প্রার্থী হন।
৫জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ঘোড়া প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, কাপপিরিচ প্রতীকে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল মনসুর, মোটরসাইকেল প্রতীকে সদ্য বহিষ্কৃত উপজেলা যুবদল সদস্য সচিব আলহাজ্ব আল মামুন, কৈ মাছ প্রতীকে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ বুলবুল ও আনারস প্রতীকে উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক অলিউল ইসলাম অলি।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকে জিয়াউর রহমান অরুন, মাইক প্রতীকে মো: মোশারফ হোসেন, চশমা প্রতীকে মো: আনোয়ার পারভেজ, তালা প্রতীকে মো: মুক্তার মিয়া, টিয়া প্রতীকে মো: মাহাবুর রহমান ও টিউবওয়েল প্রতীকে মো: নুরুল ইসলাম, বই প্রতীকে আতাউর রহমান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে সানজিদা ইয়াসমিন, হাঁস প্রতীকে মনোয়ারা বেগম ও কলস প্রতীকে সাবিহা মাহাবুব প্রভা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।