গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক।
নরসিংদীর পলাশের চলনা গ্রামের মোঃ আমজাত হোসেন ১৩ বছর প্রবাস জীবনে অনেক কষ্টে দেশে স্ত্রী সাথী আক্তারের কাছে ৬০ লক্ষ্যের টাকা অধিক টাকা ও ৫ ভরি গহনা পাঠিয়েছিলেন। দেশে ফিরে দেখেন স্ত্রী বাড়ীতে নেই,সে নাকি একটি এনজিওতে গাজীপুরে পুবাইলে চাকুরী করে।
আমজাদ হোসেন বলেন,মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বললাম স্ত্রী সাথী আক্তারের সাথে আমি বাড়ীতে আসলাম তুমি কোথায় তারাতারি বাড়ীতে আসো। সাথী আক্তার কথোপকথনে বলেন আমার অফিসে অনেক কাজ আমি দুইদিন পরে বাড়ীতে আসবো,আমজাদ হোসেন উত্তরে বলেন কি তোমার এত কাজ আমি বাড়ীতে আসলাম তুমি আসতে পারবে না,আমি তো তোমাকে চাকুরী করার অনুমতি দেই নাই,তোমার এমন চাকুরী করার প্রয়োজন নাই আমি এত কিছু বুঝিনা তুমি বাড়ীতে চলে আসো না হয় তুমি কোথায় থাকো তোমার অফিসের ঠিকানা দাও আমি তোমাকে নিতে আসবো এ কথা বলার পর সাথী আক্তার কোন উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেয়।
দুইদিন অতিবাহিত হবার পর আমি আমার স্ত্রীকে ফোন দেই আমার ফোন আর ধরে না মোবাইল শুধু ব্যস্ত দেখায় সাথী আক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে কোন উপায় না পেয়ে শশুর বাড়ীতে যাই শশুর-শাশুড়ীকে বলছি আমার স্ত্রী সাথী আক্তার কোথায় থাকে সে তো আমি বাড়ীতে আসলাম জানাইলাম সে বলছে দুইদিন পরে বাড়ীতে আসবে এখন আমি মোবাইল ফোন দিলে খালি ব্যস্ত দেখায় আসলে কি? আপনাদের মেয়ের স্বামী হিসেবে আমি আছি কিনা সন্দেহ হয় আমার। এ কথা বলতে না বলতেই শশুর-শাশুড়ী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ীতে চলে যেতে বলেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে নিরুপায় হয়ে আমি বাড়ীতে চলে আসি।
দুই মাস পর্যন্ত আমার স্ত্রীর কোন সন্ধান না পেয়ে আমি পাগলের মত হয়ে যাই ১৫ বছরের বৈবাহিক জীবনে ১৩ বছরই সিংগাপুর ও কাতারে প্রবাসে চাকুরী করিয়াছি আমার প্রবাস চাকুরী কালে যত টাকা পয়সা কামাইয়াছি সকল টাকা পয়সা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে জমি কেনা,বাড়ী করা,তার ভাইদের বিদেশ পাঠানোর জন্য হাওলাদ বাবদ পারিবারিক খরচ বাদে আমার স্ত্রী সাথী আক্তারের কাছে ৬০ লক্ষের অধিক টাকা পাঠাইয়াছি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে ১০ বছরের ১টি ছেলে ও ৭ বছরের ১টি মেয়ে রয়েছে।
অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর খবর পেলাম গাজীপুরের পুবাইলে থাকে গেলাম সেখানে খোঁজে পেলাম অফিস। অফিস লোকদের কে জিজ্ঞাসা করলাম সাথী আক্তার কোথায় বললো সে কাপাসিয়া রায়েদে বদলী হয়েছে।
আসলাম রায়েদে বড়হর মারুলিয়াপাড়া তার কর্মস্থল এনজিও অফিসে সাথী আক্তারের কথা বললাম উনি কোথায় আছে বললো বাসায় আছে। অফিসের পাশেই বাসা গেলাম সেখানে খোঁজে পেলাম আমার স্ত্রী সাথী আক্তারকে উলঙ্গ অবস্থায় একটি ছেলের সাথে রুমের ভিতর থেকে। আমি বললাম ছেলেটা কে সে বললো তর জানার দরকার কি সে বাড়ীর লোক আমার পরিচিত এই কারণে আমার ফোন ধরোনা আমার স্ত্রীকে ধরতে গেলেই চেঁচামেচি ধস্তাধস্তি হলে এক পয্যায়ে সাথী আক্তার আমাকে বটি দিয়ে কোপ দিতে গেলে স্থানীয় মহিলা একজন বটি ধরে ফেলে দেয় এই কারণে আমি প্রাণে বেঁচে যাই। লোকজন জড়ো হলে আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনি কে আমি বললাম আমি সাথী আক্তারের স্বামী আমি লোকজনের সাথে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি পাগল হয়ে গেছি জানুন ছেলেটার পরিচয় কি লোকজনের কাছে বলল সে আমার স্বামী তাকে আমি আরো ২ বছর আগে তালাক দিয়েছি। আমজাদ হোসেন বলল আমি প্রতারিত হয়েছি লোকজন সহ অফিসের বড় কর্মকর্তাদের কাছে বিচার দাবী করেন আমজাদ হোসেন।
এনজিও অফিসে বড় কর্মকর্তাদের এবং দুই পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে রায়েদ ইউনিয়নের চেযারম্যান স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে দরবার হয়। দরবারে সাথী আক্তার আমজাদ হোসেনকে তালাকের কাগজ ও মির্জাপুর টাঙ্গাইলের রুহুল আমিনের সাথে দ্বিতীয় বিবাহের কাগজপত্র দেখায়।
এখন তিনি পথের ফকির হয়ে গেছেন। অর্থ, সংসার সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব সাথী আক্তারের বিচার পেতে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
কাপাসিয়া রায়েদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিকুল হাকিম মোল্লা হিরন জানান, মেয়েটা অনেক নোংরা কাজ করেছে। তার এভাবে বেইমানি করা ঠিক হয়নি। ছেলেটা আজ পথের ভিক্ষুকের পরিনত করেছে।
এ প্রসঙ্গে রজনী সাথী আক্তার জানান, তার সাবেক স্বামী আমজাদ হোসেন জানান তাকে কোনো টাকা পাঠায়নি। তিনি তাকে তালাক দিয়ে বিয়ে করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক স্বামী আমজাদ হোসেন আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। বিদেশ যাওয়ার সময় আমার কাছ থেকে সারে সাত লক্ষ নিয়েছেন সে টাকা ও ফেরৎ দেয় নাই।