সিলেটের আখালিয়ায় লেকসিটি আ/এ,বসবাস কারী দুই প্রতিবন্ধী ভাই কাজী জুলহাস ও কাজী শাখাওয়াত উভয় পিতা – মৃত কাজী লোকমান, তাদের বোন প্রবাসে থাকাকালীন রোগাক্রান্ত হলে সুকৌশলে কাজী দ্বীন ইসলাম অন্য একজনের নামে জাল পাওয়ার এটর্নি তৈরী করে তাহার স্ত্রীর নামে পাওয়ার এটর্নি তৈরী করে পরবর্তীতে পাওয়ার এটর্নি থেকে দলীল তৈরী করে সকল কাগজপত্র তাহার নামে করে ফেলে যাতে মালিকানা দ্বীন ইসলামের কাছে আসে । প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের জায়গা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তাহার বোনের মৃত্যুর পর জাল দলিল তৈরী করে কাজী দ্বীন ইসলাম। আর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে টাকার বিনিময়ে কিনে নিলে, বেকায়দায় পড়ে রাস্তায় গাছের নীচে বসবাস করছেন কাজী শাখাওয়াত ও কাজী জুলহাস।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, মানুষের ধারে ধারে ঘুরে অসহায় জীবন যাপন করছেন দুই প্রতিবন্ধী ভাই। কিন্তু এলাকায় ক্যাডার বাহিনীর আতাতে বাসার মালিকানার কোন সুরাহা পাচ্ছেন না দুই ভাই, কাজী শাখাওয়াত বলেন, আমাদের আর কোন সম্পত্তি নাই, আমরা এখানেই আমাদের জীবনের সকল উপার্জন ব্যয় করেছি। এমতাবস্থায় দুই প্রতিবন্ধী ভাই কোর্টে বিচারের স্বার্থে কোর্টের বারান্দায় ঘুরে কোন সুরাহা পাচ্ছেন না তারা। কাজী শাখাওয়াত ও কাজী জুলহাস মামলা দিলে টাকা দিয়ে সমস্যার সমাধান করে নেয় প্রবাসী কাজী দ্বীন ইসলাম । কাজী শাখাওয়াতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী দুই ভাইকে জায়গা সমজাইয়া দিয়ে জান আমার আপন বোন। কাজী দ্বীন ইসলাম খুব খারাপ লোক কারন তাহার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কাচা মিয়া ছিলেন দ্বীন ইসলামের বাবা তিনি ডাকাতি মামলার ৭ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামী ছিলেন এবং ১৯৮৩ সালে জেলে গিয়ে সাজা ভোগ করা কালীন সময়ে ১৯৯০ সালে জেলে মৃত্যু বরণ করেন কাচা মিয়া। তিনি আরো বলেন,এখন বাসাটা জোর পূর্বক দখল করে আছে কাজী দ্বীন ইসলামের আপন বোনের জামাই বজলুর রহমান যিনি সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাব এসিস্ট্যান্ট কন্ট্রাক্টর বলে দাবী করেন, তিনি ঘর জামাই হিসাবে বাসা জোরপূর্বক দখল করে বসবাস করে আসছেন। তাহার আরেক বোন হাফছা বেগমের প্রথম বিয়ের স্বামী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে ডিভোর্স দিয়ে হূমায়ূন কে দ্বিতীয় স্বামী হিসাবে গ্রহন করেন, যে হূমায়ূন সব সময় নেশাগ্রস্ত থাকতো। তিনি রাগান্বিত কন্ঠে বলেন, আমরা প্রয়োজনে সাংবাদিক সম্মেলন করে দেশের মানুষের কাছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সকলের কাছে আমরা উপযুক্ত বিচার না পেলে দেশের সর্বোচ্ছ আদালতে যাবো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলবো, আমারা প্রতিবন্ধী বলে কি আমাদের জন্য বিচার নাই? আমরা কি ভিক্ষুকের মতো ঘুরে বেড়াবো? তাই প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা তদন্ত পূর্বক জাল দলিল বাতিল করে আসল মালিকের কাছে সমঝাইয়া দিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুতি জানান প্রতিবন্ধী দুই ভাই কাজী শাখাওয়াত ও কাজী জুলহাস ।পূর্বে ও কাজী শাখাওয়াত ও কাজী জুলহাস কে বাসা থেকে গুন্ডা এনে বের করে দিন জোর পূর্বক।