বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধাণ বলেছেন, নির্বাচন শান্তিপ্রিয় হয়েছে আমিও স্বীকার করছি। এছাড়াও পরাজয়ও আমি মেনে নিয়েছি। কিন্তু তাই বলে এই নয়যে আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হবে। এগুলো কিন্তু আমরা সহ্য করব না। বঙ্গবন্ধু’র সৈনিকেরা কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। তাই আমাদের উপর আঘাত আসলে আমরাও প্রতিঘাত করব। এসময় তিনি নির্বাচিত দেলোয়ার হোসেন প্রধাণের উদ্যেশ্যে বলেন, তুমি কিভাবে নির্বাচিত হয়েছো তা তোমার বিবেককে প্রশ্ন কর।শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে যে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন নির্বাচনে কি হয়েছে। এখনো চ্যালেঞ্জ করি আমার সাথে নির্বাচন কর তুমি ৩ভাগের একভাগ ও ভোট পাবেনা। এটা তুমিও জানো আমিও জানি আমার নেতাকর্মীরাও জানে। তারপরও আমি তোমাকে ছাড় দিয়েছি।
শুক্রবার বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রবীন আ’লীগ নেতা মোঃজহিরের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন,
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ কর্তৃক আয়োজিত এ সভায় তিনি আরো বলেন, আমার সমর্থক মাদবপাশা এলাকার জহিরকে তোমার নির্দেশে তোমার ছেলেসহ আরো অনেকে মারধর করেছো। উনি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।আল্লাহ না করুক ওনার কিছু হয়ে গেলে তোমার বাড়ি-ভিটা কিছুই থাকবেনা। তোমার এতো সাহস তুমি আবার বলেছো তুমি নাকি হুকুম দিলে ফরাজিকান্দার ৪-৫ টি লাশ পড়ে যেত। আমি তোমার গ্রহন করলে তুমি হুকুম দাও। ফরাজিকান্দার মানুষ আঙ্গুল চুষবেনা।
অনুষ্ঠানে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আমিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিয়ান আহমেদ, প্রবীণ আ’লীগ নেতা আব্দুল্লাহ বাবু, কাজী এরসাল হক, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশেম, যুগ্ম-সম্পাদক আক্তার হোসেন বিএ, এনায়েতনগর পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হান্নান, আ’লীগ নেতা খালিদ বিন আনিস,উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোক্তার উদ্দিন মুক্তু, ইউনিয়ন যুবলীগের ৭,৮,৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইসতিয়াক উদ্দিন জারজিস, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন তাহেরী সিনহা, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব মোঃলিটন, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি আশিফ মাহমুদ, কৃষকলীগের আহ্বায়ক জবেদ আলী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান জিএম।